এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক। তারা হলেন– মো. নাহিদ ইসলাম, মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম। গতকাল রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে আলোচনা শেষে ডিবি কার্যালয় থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
এসময় অন্য পাঁচ সমন্বয়ক তার সঙ্গে ছিলেন। মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত ও নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, সমন্বয়কদের জিম্মি করে স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। সমন্বয়করা ভয়ভীতির মুখে গোয়েন্দা সংস্থার লিখে দেওয়া বক্তব্য রিডিং পড়েছে, আমরা সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি এবং জোরপূর্বক বক্তব্য আদায় করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের আন্দোলন চলবে।
আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের ব্ল্যাকমেইল করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করানো হয়েছে। এই বিবৃতি ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। সহ-সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, তারা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল আমরা জানি না। এমন সিদ্ধান্ত শোনার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।
পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আগে ফিরুক। যেহেতু তারাই এই আন্দোলনের মূল শক্তি। তাদের সঙ্গে সবাই বসে আমরা জানতে পারব কী কারণ ছিল এর পেছনে। এরপর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।